- Trade News 24 - http://www.tradenews24.com -

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ, অন্যথায় আদালত

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক) কার্যক্রম পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ। তারা বলছে, ব্যাংকের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না পেলে বিনিয়োগ ফেরত দিতে হবে, অন্যথায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে।

গত ৭ জুলাই গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই দাবি জানায় গ্রুপটির চেয়ারম্যান জোসেফিন সিভারেতনাম। চিঠির অনুলিপি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকেও পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকা উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক) ৫৩ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ। ২০০৮ সালে সব শর্ত মেনে ব্যাংকটিতে ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গ্রুপটি। তবে বর্তমানে ব্যাংকে আর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক বিনিয়োগকারীদের দায়ের করা মামলার কারণে ব্যাংকটির শেয়ার কেনাবেচা আটকে যায়, ফলে বিনিয়োগ আটকে পড়ে আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপের। আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণে চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে এবং একজন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ। তারা বলছে, ব্যাংকের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না পেলে বিনিয়োগ ফেরত দিতে হবে, তা না হলে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল এবং নতুন মালিক হিসেবে আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ দায়মুক্তভাবে শেয়ার গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, কারণ ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক শেয়ারধারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে, যেগুলো এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ফলে গ্রুপটির স্বার্থ সুরক্ষিত হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।

আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ আরও জানিয়েছে, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কখনো তাদের শেয়ারের দায়মুক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেনি। এমনকি তাদের মনোনীত নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বরং বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শেয়ারের ওপর অনিশ্চয়তা থাকায় কোনো বিনিয়োগকারী বা কৌশলগত অংশীদার ব্যাংকটিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে না। হাইকোর্টের আদেশে শেয়ার হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকায় লেনদেনও বাধাগ্রস্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আইসিবি ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ আগ্রহ নিয়ে বিনিয়োগ করেছিল। এখন রাষ্ট্রীয় সহায়তায় আইনি সমাধান হলে ভালো হয়।