বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ কে এম মিজান উর রশীদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চিঠিতে হুবহু তুলে ধরা হলো –
বরাবর,
মাননীয় চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন
দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়, সেগুন বাগিচা, ঢাকা।
বিষয়ঃ নিজে লাভবান হওয়া এবং দলভুক্ত ভাবে নিজেদের লোকদের কে লাভবান করার উদ্দেশ্যে আইন বর্হিভূত এবং ক্ষমতা বর্হিভূত ভাবে মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ তৈরি করে শেয়ার বাজারের মার্জিন ঋন গ্রহনকারী বিনিয়োগকারীদের কয়েক হাজার কোটি পরবর্তীতে লক্ষ কোটি টাকা আত্মসাত করার এবং সেই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রার্থনা।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি এ কে এম মিজানুর রশিদ চৌধুরী পিতা-মৃত মরহুম লকিয়ত উল্লা চৌধুরী, সাং- বিক্রমপুর প্লাজা, সুইট নং-৬০৩, (৬ষ্ঠ তলা), বাসা নং-২১১/ডি, জুরাইন রেল গেইট, থানা-কদমতলী, ঢাকা, সভাপতি, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,
১। আমি একজন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী। দীর্ঘদিন যাবত আমি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করে আসছি। বিগত ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে দর পতন শুরু হয়। বিগত সরকারের আমলে কতিপয় দুর্নীতিবাজের কারনে শেয়ার বাজার সঠিক গতিতে চলতে পারেনি। বিগত ফেসিষ্ট সরকারের আমলে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী এবং প্রশাসনের যোগসাজসে দুর্বল এবং ব্যবসাহীন কোম্পানীকে শেয়ার বাজারে তালিকা ভূক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ও কোন প্রকার ব্যবসা বানিজ্য না থাকা সত্বেও বিপুল পরিমান প্রিমিয়াম সহ অনেক কোম্পানীকে ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ই পি এস ফুলিয়ে ভাপিয়ে দেখিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে। যা প্রকাশ্য রকম দুর্নীতি। পরবর্তীতে উক্ত নতুন তালিকা ভুক্ত কোম্পানীগুলো ট্রেড শুরু হলে কৃত্তিম ভাবে দাম ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি করেছে। যাতে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থ্যাৎ জনগণের টাকা লুটপাট এবং আত্মস্বাৎ করার পরিকল্পিত উদ্দেশ্যে দুর্নীতিকে নীতিতে পরিনত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন বিভিন্ন সময় লোক দেখানো ভাবে বিভিন্ন অপরাধীদের জরিমানা করলে ও উক্ত বিপুল পরিমান জরিমানার টাকা কত
আদায় হয়েছে, আদায়কৃত টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে, তাহার কোন তথ্য জন সম্মুখে প্রকাশ করেনি। তাছাড়া শেয়ার বাজারে অবন্টিত লভ্যাংশ দ্বারা পূর্বে একটি ফান্ড তৈরি করেছে। কিন্তু উক্ত আদায়কৃত টাকা এবং স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের টাকা কিভাবে ব্যয় হচ্ছে তার কোন হদিস নেই। স্বৈরসাশনের পতনের পর বর্তমান বিপ্লবী সরকার দেশের এবং সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের শেয়ার বাজার দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারনার মহা আখড়া। বিগত বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন কে পূণঃ গঠনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন এবং বিগত ২৪/০৮/২০২৪ইং তারিখে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সাহেবকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহনের পর তিনি শেয়ার বাজারে উন্নতি এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিবেচনা না করে কি ভাবে বাজারের গ্যামুলারদের স্বার্থ রক্ষা করা যায় এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করে গ্যামুলারদের হাতে তুলে দেয়া যায়, সে চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। উনার কাজ কর্মকান্ড দেখে মনে হয় শেয়ার বাজারে মূল্য পতন ঘটানোই উনার প্রধান কাজ। তিনি এবং তার লোকজন প্রচার করতে থাকেন বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে, যার কারণে শেয়ার বাজারে মূল্য পতন হচ্ছে। যাহা বাস্তবে সঠিক নয়। বর্তমানে সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর ব্যাংক সংস্কার শুরু হয়। উক্ত ব্যাংক সংস্কারের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক এবং লিজিং কোম্পানী আর্থিক সংকটে পড়ে। ফলে তাদের নিকট থাকা কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। কম মুল্যে শেয়ার কেনার জন্য ক্রেতার অভাব হয়নি। বাস্তব অবস্তা হলো বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে কোন তারুল্য সংকট নাই। তারল্য সংকট থাকলে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃক বিক্রিত কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবিক্রিত থেকে যেত।
২। বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব খন্দকার রাশেদ মকসুদ সাহেব বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর শেয়ার বাজার উন্নয়নের এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার গুরুত্ব না দিয়ে কি ভাবে সাধারন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করে অপেক্ষমান গ্যামুলারদের হাতে তুলে দিতে পারে সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ০৬ই নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন বিধিমালা ২০২৫) গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
জনাব খন্দকার রাশেদ মকসুদ কর্তৃক প্রণীত উক্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন বিধিমালা ২০২৫) সিকিউরিটি কমিশন আইনের ১৯৯৩ প্রদত্ত ক্ষমতার চরম লংঘন। বিগত ৭ই রাশেদ মকসুদ সাহেব এর আদেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর পুঁজিবাজার সংস্কার অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান জনাব খন্দকার টাস্কফোর্স নামে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়।
বিগত ৭ই অক্টোবর ২০২৪ ইং বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক গঠিত ট্যাস্ক ফোর্সকে ১৭টি বিষয়ের উপর মতামত প্রধানের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উক্ত ট্রাস্কফোর্সে তথা কথিত সুপারিশের ভিত্তিতে বিগত ০৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক তথা মার্জিন বিধিমালা ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করেন।
বিগত ০৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক গেজেট টি ছিল একটি প্রতারনা। নিম্নলিখিত কারণে উক্ত বিধিমালা দেশের প্রচলিত আইন লংঘন করেছে।
ক) বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের অধীন একটি সংস্থা। যাহা সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পরিচালিত হয়। উক্ত আইনের ৮নং ধারায় কমিশনের কার্যাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। যাহা নিম্নরুপ ধারা-৮। কমিশনের কার্যাবলী-
(১) এই আইনের বিধান এবং বিধির বিধানাবলি সাপেক্ষে, সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ, সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষন এবং পুঁজি ও সিকিউরিটি বাজারের উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রন করাই হইবে কমিশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলী।
(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরিউক্ত বিধানাবলীর সামগ্রীকতা ক্ষুন্ন না করিয়া, অনুরুপ ব্যবস্থার মধ্যে নিম্নরুপ যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথাঃ-
(ক) স্টক এক্সচেঞ্জ বা কোন সিকিউরিটি বাজারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রন:
(খ) স্টক ব্রোকার, সাব ব্রোকার, শেয়ার হস্তান্তরকারী প্রতিনিধি, ইস্যুর ব্যাংকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ইস্যুর নিবন্ধক, ইস্যুর ম্যানেজার, অবলিখক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ট্রাস্ট দলিলের ট্রাস্টি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানী, হেফাজতকারী, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানী, এবং সিকিউরিটি মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হইতে পারে এইরুপ অন্যান্য মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের কার্য নিরুপন ও নিয়ন্ত্রন;।
(গ) মিউচুয়্যাল ফান্ডসহ যে কোন ধরেনের যৌথ বিনিয়োগ পদ্ধতির নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনা:
(ঘ) কর্তৃত্ব প্রাপ্ত আত্ম-নিয়ামক সংগঠনসমুহের উন্নয়ন, পরিবীক্ষন ও নিয়ন্ত্রন:
(ঙ) সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারনামূলক এবং অসাধু ব্যবসা বন্ধকরন:
(চ) বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষার উন্নয়ন এবং সিকিউরিটি বাজারের সকল মাধ্যমের প্রশিক্ষন: (ছ) সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরন:
(জ) কোম্পানীর শেয়ার বা স্টক ও কর্তৃত্ব গ্রহন এবং কোম্পানীর অধিগ্রহন ও নিয়ন্ত্রন:
(ঝ) সিকিউরিটি ইস্যুকারী স্টক এক্সচেঞ্জ এবং উহাদের মাধ্যমে এবং সিকিউরিটি বাজারের আত্ম-নিয়ামক সংগঠনের নিকট হইতে তথ্য তলব, উহাদের পরিদর্শন, তদন্ত ও অডিট:
(ঝঝ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুকনা কেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিতক্রমে, কোন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ হইতে সিকিউরিটিজ লেনদেন সম্পর্কিত তদন্তাধীন ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য ও রেকর্ড তলব:
(ঝঝঝ) সরকারের পূর্বানুক্রমোদনক্রমে, দেশী ও বিদেশী কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সহিত সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময় চুক্তি সম্পাদন:
(ঞ) সিকিউরিটি ইস্যুকারী আর্থিক কর্মকান্ড সম্পর্কিত কর্মসুচি সংকলন, বিশ্লেষন ও প্রকাশন:
(ট) এই ধারার উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, ফিস বা অন্যান্য খরচ ধার্য:
(ঠ) উপরিউক্ত উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নের প্রয়োজনে গবেষনা পরিচালনা এবং তথ্য ও উপাত্ত প্রকাশ করা:
(ঠঠ) ডেরিভেটিভসহ সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত সেটেলমেন্টের জন্য স্থাপিত ক্লিয়ারিং কর্পোরেশনের কার্য নিয়ন্ত্রন:
(ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে (বিধি) দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন ও কর্তব্য পালন। ১৯৯৩ সালের সিকিউরিটি কমিশন আইন মোতাবেক কমিশনের কার্যাবলী উক্ত আইনের ৮ধারায় বর্ণিত কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক প্রণীত বর্ণিত মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ বিধানটি ১৯৯৩ সালের সিকিউরিটি কমিশন আইনের বিধান লংঘন করে করা হয়েছে।
বিগত ০৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক প্রণীত বিধিমালাটি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আইনের পরিপন্থি:-
ক) সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর কোথায় মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রমে এবং শেয়ার বিক্রি বা লেনদেনে হস্তাক্ষেপ করার কোন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ এ মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রমে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
(খ) বর্তমান বিধিমালা দ্বারা মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষমতা মার্চেন্ট ব্যাংক আইন বিলুপ্ত করা হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক সমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানী। মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋন প্রদানের নিজস্ব নীতিমালা আছে। অথচ সিকিউরিটিজ এন্ড এচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান বিধিমালায় ব্যাংকের ঋন প্রদানের এবং আদায়ের ক্ষমতা ও পদ্ধতির উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যাহা সম্পূর্ণরুপে অবৈধ।
(গ) ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রদেয় ঋন এর বকেয়া অংশ অর্থ ঋন আদালত আইন ২০০৩ এর বিধান মোতাবেক আদায় করে থাকে। তাছাড়া ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পাওনা ঋনের টাকার ক্ষেত্রে গ্রাহকের স্বার্থ এবং সম্পর্ক বিবেচনায় সুদও মওকূপ করতে পারে এবং ঋণ পূণঃতফসিল করতে পারে এবং করে করে থাকে। অথচ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক প্রনীত মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ এর ক্ষেত্রে গ্রাহকের সুদ মওকুফের কোন সুযোগ রাখা হয়নি।
(ঘ) অর্থ ঋন আদালত আইন ২০০৩ এর ৪৭ ধারা মোতাবেক আরোপের সীমাবদ্ধতা অংশে উল্লেখ আছে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আসল ঋনের ১০০+২০০=৩০০ টাকার আদায় করতে পারবে না। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কর্তৃক প্রনীত মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ এ গ্রাহকের অর্থ ঋন আদালত আইন ২০০৩ এর প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ৮ ধারার এই ধরনের কোন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।
(ঙ) সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন কাউকে কোন ঋন দেয় না এবং শেয়ার ক্রয় করেনা। সুতরাং ব্যাংকের ঋন আদায় করা, শেয়ার বিক্রয়ের নির্দেশ দেয়া এই ধরনের কোন ক্ষমতা সিকিউরিটি এন্ড এন্ড্রচেঞ্জ কমিশনের নাই। তাছাড়া সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ৮ ধারায় এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। অথচ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন মার্জিন রুল বিধিমালা-২০২৫ দ্বারা উক্ত দায়িত্ব গ্রহন করেছে। যাহা আইনের পরিপন্থি।
(চ) সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯৯৩ কোন প্রকার ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করার কোন বিধান নাই।
বিগত ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখে পুঁজি বাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করেন এবং মোট ১৭টি বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের নিমিত্বে গঠিত কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু টাস্ক ফোর্স উক্ত ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১৩ নং ক্রমিকে বর্ণিত বিষয়ে রিপোর্ট প্রদান করেন। মূলক আইন বর্হিভূত উক্ত টাস্ক ফোর্সের গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার শেয়ার আত্মস্বাৎ করার কৌশল তৈরি করা।
মুলত উক্ত টাস্কফোর্স গঠন টি ছিল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ ইং এর বরখেলাপ এবং প্রতারনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার উদ্দেশ্যে গঠিত।
৬। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এজচেঞ্জ কমিশন অর্থ মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশনের কাজ হল উক্ত আইনের ধারা ৮ মোতাবেক কার্যাবলী সম্পন্ন করা। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের ধারা ৮ এর উপধারা “(ঝঝ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুকনা কেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিতক্রমে, কোন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ হইতে সিকিউরিটিজ লেনদেন সম্পর্কিত তদন্তাধীন ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য ও রেকর্ড তলব:” ব্যতিত অন্য কোন কাজ করার ক্ষমতা নাই। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোন প্রকার খঋণ প্রদান করে না। মার্চেন্ট ব্যাংক গুলি ঋন প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মোতাবেক মার্চেন্ট ব্যাংক যথাযথ সিকিউরিটির বিনিময়ে ঋন দিয়ে থাকে এবং মার্চেন্ট ব্যাংক সমুহ প্রদেয় ঋন আদায় করে থাকে এই বিষয় মার্চেন্ট ব্যাংকের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা রয়েছে। উক্ত নীতিমালার আওতায় ব্যাংক প্রয়োজন বোধে অর্থ ঋন আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ঋন এর টাকা আদায় করতে পারে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। অথচ বিগত ৬ ইং নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে গেজেট কৃত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন বিধিমালা
২০২৫) এর মাধ্যমে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এর নীতিমালা হস্তক্ষেপ এবং বাতিল করা হয়েছে। অথচ উক্ত অবৈধ বিধিমালার বিনিয়োগ থাকা হাজার হাজার সাধারন বিনিয়োগ কারীদের শেয়ার জোর পূর্বক বিক্রি করে আত্মসাৎ করা হবে।
বিগত ০৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে প্রণীত বিধিমালা নিম্নলিখিতভাবে আইন লংগন করে শেয়ার ৭। আত্মস্বাৎ করা হচ্ছে এবং হবে।
৮। তর্কিত আইনের ধারা ১ এ উল্লেখ করা হয়েছে,” ১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও কার্যকারিতাঃ- (১) এই বিধিমালা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এডচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে; নিম্ন বর্ণিত কারণে উক্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালাটি অবৈধ।
(ক) বর্ণিত বিধিমালার প্রথম পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন আইন হবে ১৯৯৩ এর ২৪(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে প্রনয়ন করা হয়েছে। কিন্তু ২৪ (১) বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, “এই আইনের উদ্দেশ্য পূরনকল্পে কমিশন, সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রনয়ন করতে পারবেন।” যার মানে হলো ১৯৯৩ সালের আইনের ৮ ধারার বর্নিত কমিশন কার্যাবলী কে বুঝানো হয়েছে। উক্ত ধারায় সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশনকে মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত কোন নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তাছাড়া যেহেতু সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন কোন ঋণ দেয় না, সুতরাং ঋণ আদায়ের কোন ক্ষমতা বা আদায় সংক্রান্ত কোন নীতিমালা প্রণয়ন করার ক্ষমতাও নাই।
(খ) বর্তমান বিধিমালা দ্বারা মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষমতা এবং মার্চেন্ট ব্যাংক আইন বিলুপ্ত করা হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি সাবসিডিয়ারী কোম্পানী। মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋন প্রদানের নিজস্ব নীতিমালা আছে। অথচ সিকিউরিটি এন্ড এজচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান বিধিমালায় ব্যাংকের ঋন প্রদানের কোন ক্ষমতা রক্ষা হয়নি যা সম্পূর্নরুপে অবৈধ।
(গ) ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রদেয় ঋন এর বকেয়া অংশ অর্থ ঋন আদালত আইন ২০০৩ এর বিধান মোতাবেক আদায় করে থাকে। তাছাড়া ব্যাংক এবং আর্থীক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রাপ্ত ঋনের উপর গ্রাহকের স্বার্থ এর সম্পর্ক বিবেচনায় সুদও মওকূপ করতে পারে এবং সুদ মওকূপ করে থাকে। অথচ সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক প্রণীত বর্তমান বিধিমালায় গ্রাহকের সুদ মওকুফের কোন সুযোগ রাখা হয়নি।
(ঘ) অর্থ ঋন আদালত আইন, ২০০৩ এর ৪৭ ধারা মোতাবেক আরোপের সীমাবদ্ধতা অংশে উল্লেখ আছে।
ব্যাংক বা আর্থীক প্রতিষ্ঠান আসল খঋনের ১০০+২০০=৩০০ টাকার আদায় করতে পারবে না। সিকিউরিটি এচেঞ্জ কর্তৃক প্রনীত বর্তমান বিধিমালায় গ্রাহককে অর্থ ঋন আদালত আইন, ২০০৩ এর প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করেছে। অথচ সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ৮ ধারার এই ধরনের কোন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।
(ঙ) সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন কাউকে কোন ঋন দেয় না এবং শেয়ার ক্রয় করেনা। সুতরাং ব্যাংকের ঋন আদায় করা শেয়ার বিক্রয়ের নির্দেশ দেয়া এই ধরনের কোন ক্ষমতা সিকিউরিটি এন্ড এচেঞ্জ কমিশনের নাই। তাছাড়া সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ৮ ধারায় এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।
(চ) সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯৯৩ কোন প্রকার ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করার কোন বিধান নাই। ৯। তর্কিত বিধিমালার ২নং ধারায় সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত ধারায় ২ এ উল্লেখ করা হয়েছে, “(২) (ক) (১) “আবশ্যিক বিক্রয়” বলতে কোন গ্রাহকের কোন মার্জিন হিসাব সমন্নয়ের নিমিত্বে মার্জিন অর্থায়নকারী কর্তৃক উক্ত হিসাবের প্রয়োজনীয় সংক্ষক সিকিউরিটি বিক্রির করাকে বুঝাইবে।” উক্ত ধারার মাধ্যমে জোর পূর্বক শেয়ার বিক্রয়ের ক্ষমতাকে বোঝানো হয়েছে। অথচ পৃথিবীর কোথাও এমন কোন আইন নাই, যার দ্বারা কারো সম্পত্তি অন্য পক্ষকে জোর পূর্বক বিক্রির নির্দেশ দিতে পারে।
এই ধারার উদ্দেশ্য হলো মার্জিন লোন একাউন্টে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য করা। যাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের সহিত সংশ্লিষ্ট কমমূল্যে শেয়ার ক্রয় করতে পারে।
১০। তর্কিত বিধিমালার ৩নং ধারায় সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩(১)। মার্জিন অর্থায়নকারী (margir financer) কোনো মার্জিন অর্থায়নকারী Bangladesh Security znd exchange Commission (Risk Based Capital Adequacy) Rule, 2019 পরিপালন না করিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না;
তবে শর্ত থাকে যে, এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার পরবর্তী ৬(ছয়) মাস পর্যন্ত মার্জিন অর্থায়নের নিমিত্ত উক্ত বিধান পরিপালনের বাধ্যবাধকতা সিথিল থাকিবে।
৩(২)। কোনো মার্জিন অর্থায়নকারী উপবিধি (১) এর বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হইলে উহা নতুন করিয়া কোনা মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না: এবং ইহা কর্তৃক ইতোপূর্বে প্রদত্ত সমুদয় মার্জিন অর্থায়ন, তৎপরবর্তী ৬(ছয়) মাসের মধ্যে সমন্নয় করতঃ উহার মার্জিন অর্থায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করিবে।” উক্ত ধারাটি পর্যালোচনা করলে সুস্পষ্টভাবেই প্রতিয়মান হয়, উক্ত বিধিটি একটি বৈষম্যমূলক। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এক নিয়ম আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্য নিয়ম। হয়তো ছয় মাস পর বিধিটি আর থাকবে না। অথচ উক্ত সময়ের মধ্যে সাধারন বিনিয়োগকারীগণ শেয়ার শূন্য হবে।
১২। উক্ত আইনের ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে “৬। মার্জিন চুক্তি সম্পাদনে (Margine Agrement) (১) মার্জিন অর্থায়ন কারী এবং গ্রাহকের মধ্যে সংস্কার নির্ধারিত মূল্যে ষ্ট্যাম্পে এ যথাযথভাবে একটি মার্জিন চুক্তি সম্পাদন ব্যক্তির কোন মার্জিন হিসাব খোলা পরিচালনা বা মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।”
উক্ত ধরার ৬নং উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে “৬ (৫)। মার্জিন চুক্তির মেয়াদ হবে ১ বছর যা উভয় পক্ষের সম্মতিতে নবায়ন করা যাইবে। তবে শর্ত থাকে যে ইতি পূর্বে সম্পাদিত চুক্তি নবায়ন ও বিধিমালা যথাযথ ভাবে পরিচালিত হইয়াছে কিনা। তাহা যথাযথ পর্যালোচনা (review) না করিয়া মার্জিন আমানতকারী কোন চুক্তি নবায়ন করিতে পারিবে না।”
উক্ত আইনের ৬ এর উপধারায় উল্লেখ আছে “৬(৬)। মার্জিন চুক্তির মেয়াদ কোন হিসাব নবায়ন করা না হইলে মার্জিন হিসাবটি বন্ধ করিবেন।”
উক্ত ধারাটির উদ্দেশ্য হলো, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশন এর নিকট সকল হিসাবধারীদের একাউন্টের তথ্য আছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এজচঞ্জ কমিশন জানে অনেক হিসাবধারী দেশের বাইরে আছে। তাদের হিসাব কোন অবস্থায় এক মাসের মধ্যে নবায়ন করা যাবে না। যাতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশন এর হুমকির মধ্যে উক্ত শেয়ারগুলো মাচেন্ট ব্যাংক বিক্রি করতে বাধ্য হবে। যার মাধ্যমে বিএসইসি চেয়ারম্যান এবং উনার সহযোগীগণ কম মূল্যে শেয়ার ক্রয় করতে পারবে।
তাছাড়া দীর্ঘদিন দরপতনের কারণে অধিকাংশ মার্জিন খঋণ কারী ব্যক্তিগণ অত্র বিধিমালায় বর্ণিত অন্যান্য শর্ত পূরণ করে উক্ত ধারায় বর্ণিত মতে চুক্তি করতে পারবে না। যাতে মার্চেন্ট ব্যাংক উক্ত শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং বিক্রিত শেয়ার কমমূল্যে চেয়ারম্যন এবং উনার সহযোগীগণ কম মূল্যে শেয়ার ক্রয় করতে পারবে।
উক্ত আইনের অপর একটি দিক হলো প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থে দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ করে থাকে। উদ্দেশ্য কোম্পানীর অবস্থা ভাল হবে, লভ্যাংশ পাবে। কিন্তু এক বছরের জন্য চুক্তি করলে শেয়ার বাজার, মাচেন্ট ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক মাচেন্ট ব্যাংক সমূহ গ্রাহকের সহিত চুক্তি পত্র আনুসাঙ্গিক ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করে ঋন প্রদান করে থাকে তাছাড়া ঋন প্রদান এবং আদায়পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত মার্চেন্ট ব্যাংক তখন মনে করবে ঋন আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন তখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পরিশোধ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে। কোন কোন ঋনের মেয়াদ অনেক বছর যারা ঋন অপেক্ষা কয়েক গুন বেশী সুদ/মুনাফা পরিশোধ করেছে ব্যাংক ইচ্ছা করলে সুদ মওকূপ করতে পারে, ঋন পূণঃতফসিল করতে পারে, আইন মোতাবেক সামান্য সুযোগ সুবিধা দিতে পারে। কিন্তু সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক প্রনীত বর্তমান আইন ব্যাংক কোম্পানী, অর্থ ঋন আদালত আইন, ২০০৩, ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদ মওকুপ, ঋণ পূনঃতফসিলের সুযোগ সব বাতিল করা হয়েছে। মূলত সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান নিজে লাভবান হওয়া এবং নিজের সহযোগীদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে উক্ত বিধিমালা প্রনয়ন করেছে।
১১।) উক্ত আইনের ৬((৯) ধারার বিধানটি অবৈধ এবং সাধারণ গৃহিনী, ছাত্রছাত্রী বা অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তিদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার একটি সুপরিকল্পনার অংশ। উক্ত আইনের “৬(১) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, “আর্থিক সক্ষমতা ও সুরক্ষা বিবেচনায় কোন ছাত্র ছাত্রী, গৃহীনি বা অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।”
এই ধারাটির উদ্দেশ্য হল সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা জানেন বর্তমানে বিপুল সংক্ষক নারী, গৃহিনী, অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তির নামে বিপুল সংক্ষক শেয়ার আছে। এ আইনের মাধ্যমে উক্ত নারী, গৃহিনী, অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ছাত্র ছাত্রী গনের অভিভাবকগন ৬ ধারা মোতাবেক চুক্তি করতে পারবে না। যারকারণে উক্ত শেয়ার সমূহ বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং কম মূল্যে সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা উক্ত শেয়ার সমূহ ক্রয় করে নিজেরা এবং নিজেদের সহযোগীদের কে লাভবান করতে পারবে।
১২। উক্ত আইনের ৭নং ধারাটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ ইং এর বরখেলাপ এবং প্রতারনার মাধ্যমে মার্জিন ঋণ ধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার শেয়ার সুপরিকল্পিত ভাবে আত্মস্বাৎ করার উদ্দেশ্যে প্রণীত।
উক্ত আইনের ৬নং উপ-ধারায় উল্লেখ করা হেেয়ছে,
৭(৬) মার্জিন অর্থায়নকারী কোনো গ্রাহকের মার্জিন হিসাবে মার্জিন অর্থায়নের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ইকুইটি ও মার্জিন অর্থায়ন অনুপাত নিম্নলিখিতভাবে নির্ধারণ করিবে, যথাঃ
(ক) গ্রাহকের পোর্টফোলিও মূল্য ০৫ (পাঁচ লক্ষ) টাকা বা উহার অধিক, তবে ১০ (দশ লক্ষ) টাকার কম হইলে, গ্রাহকের ইক্যুইটি ও মার্জিন অর্থায়ন অনুপাত ১:০৫ এর অধিক হইবে না;
(খ) গ্রাহকের পোর্টফোলিও মূল্য ১০ (দশ লক্ষ) টাকা বা উহার অধিক হইলে, গ্রাহকের ইক্যুইটি ও মার্জিন অর্থায়ন অনুপাত ১:১ এর অধিক হইবে না
(গ) কোনো তালিকাভুক্ত লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্তে গ্রাহকের ইক্যুইটি ও মার্জিন অর্থায়ন অনুপাত ১:০.২৫ এর অধিক হইবে না;
উক্ত ধারাটি সম্পর্কে বক্তব্য হলো, সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট সকল হিসাবের তথ্য আছে। কর্তৃপক্ষ জানেন যে, বর্তমানে অধিকাংশ মার্জিন ঋণদারীর শেয়ার এর ইকুইরিটি উক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত হারে নাই। যারকারণে উক্ত শেয়ার সমূহ বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং কম মূল্যে সিকিউরিটি এচঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা উক্ত শেয়ার সমূহ ক্রয় করে নিজেরা এবং নিজেদের সহযোগীদের কে লাভবান করতে পারবে।
১২। উক্ত বিধিমালার ৮নং ধারাটি একটি প্রতারণ মূলক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার করার কৌশল। সাধারন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার পর উক্ত বিধান বাতিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। উক্ত ধারার “৮। মার্জিন অর্থায়নকারী নিজস্ব নীতিমালা (Own Policy) (১) মার্জিন অর্থায়নকারী মার্জিন সংরক্ষন, অর্থায়ন ও রক্ষনাবেক্ষণ বিষয়ে, নিম্নবর্নিত ঝুঁকি সমুহ নিরসন করিবার পন্থাসমূহ উল্লেখ পূর্বক, উহার পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে, নিজস্ব একটি রক্ষনশীল (conservative) নীতিমালা, এই বিধিমালা সরকারি গেজেট প্রকাশিত হইবার ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে প্রনয়ন ও তাহা যথাযথভাবে অনুসরন করিবে:
উক্ত ধারার সহিত আরো ৫(পাঁচ)টি উপ-ধারা এবং বেশ কয়েকটি উপ-উপ ধারা রয়েছে।
উক্ত ধারা ২নং উপ-ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে,” (২) মার্জিন অর্থায়নকারী উহার নীতিমালায়, নিম্নবর্নিত বিষয়বলী ও রক্ষনশীল (conservative) নীতিতে, অন্তর্ভুক্ত করতঃ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রবর্তন করিতে পারিবে, যথা:
(ক) বিধি ৭-এ বর্নিত আর্থিক সক্ষমতা ও গ্রহনের ধরন, ইত্যাদি বিবেচনা পূর্বক কোনো গ্রাহকের মার্জিন অর্থ প্রাপ্যতার হার বা মার্জিন অর্থায়ন অনুপাত নির্ধারন ও প্রবর্তন;
(খ) বিধি ৯-এ বর্নিত মার্জিন অর্থায়ন ও ইক্যুইটির অনুপাত বজায় রাখিবার নিমিত্ত মার্জিন তলব ও ন্যূনত মার্জিন সংরক্ষন সংক্রান্ত নীতি প্রনয়ন ও প্রবর্তন;
(গ) বিধি ১০-এবর্নিত সিকিউরিটিজ সমুহ হইতে মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটিজের তালিকা নীতি প্রণয়ন ও প্রবর্তন;
(ঘ) বিধি ১১-এ বর্নিত মার্জিন অর্থায়নে আবশ্যিকভাবে পরিপালনীয় বিধি-নিষেধ বা শর্তাবলীর অতিরিক্ত কোনো শর্ত প্রবর্তন;
(ঙ) বিধি ১২-এ বর্নিত আবশ্যিকভাবে পরিপালনীয় অন্যান্য বিধি-নিষেধ বা শর্তাবলীর অতিরিক্ত কোনো শর্ত প্রবর্তন;
(চ) বিধি ১৬-এ বর্ণিত একক গ্রাহকের মার্জিন অর্থায়ন সীমা (single client exposure limit) নির্ধারন ও প্রবর্তন; (single client exposure limit) নির্ধারন ও প্রবর্তন; ইত্যাদি।
(ছ) বিধি ১৭-এ বর্ণিত একক সিকিউরিটিজ মার্জিন অর্থায়ন সীমা (single client exposure limit) নির্ধারণ ও প্রবর্তন, ইত্যাদি।
উক্ত ৮নং ধারাটি পর্যালোচনা করলে প্রতিয়মান হয়, এক দিকে মার্জিন ঋণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ফোর্স সেল করে নিয়ে যাবে, অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংক পর্যালোচনা করে মতামত দিবে। যদি মতামত সন্তোষজনক না হয়, সেক্ষেত্রে অত্র বিধিটি বাতিল করবে। সে সময় বিনিয়োগকারী একাউন্টে কোন শেয়ার থাকবে না। প্রকৃতপক্ষে নানা প্রকার কৌশলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের একাউন্টে থাকা শেয়ার আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে অত্র বিধিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে। তাছাড়া উক্ত বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকের পূর্বের নীতিমালা রয়েছে। নতুন নীতিমালা করার প্রয়োজন নাই। সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট সকল হিসাবের তথ্য আছে। কর্তৃপক্ষ জানেন যে, বর্তমানে অধিকাংশ মার্জিন ঋণদারীর শেয়ার এর ইকুইরিটি উক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত হারে নাই। যারকারণে উক্ত শেয়ার সমূহ বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং কম মূল্যে সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা উক্ত শেয়ার সমূহ ক্রয় করে নিজেরা এবং নিজেদের সহযোগীদের কে লাভবান করতে পারবে।
১৩। উক্ত ধারার ৯নং উপধারাটি সুকৌশলে শেয়ার আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রনীত উক্ত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে “
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রনীত বিধিমালার ৯ নং ধারাটি শেয়ার আত্মসাৎ করার আরও একটি কৌশল। উক্ত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে,
“৯। মার্জিন তলব margin call আবশ্যিকভাবে বিক্রয়ঃ (১) কোন মার্জিন হিসাবে সার্বক্ষনিক সংরক্ষিতব্য মার্জিন (maintenance margin) হিসেবে গ্রাহকের ইক্যুইটি মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ৭৫% ভাগ (৭৫%) বা উহার পোর্টফোলিউ ও মূল্য (Portfolio value) মার্জিন অর্থায়নের শতকরা
১৭৫ ভাগের (১৭৫%) কম হইবে না;
(২) কোন কারনে বা কোন সময় যদি কোন গ্রাহকের ইক্যুইটি বা পোর্টফোলিও মূল্য” উপবিধি (১) এ বর্নিত শতকরা হারের নিচে নামিয়া যায়, তাহা হইলে মার্জিন অর্থায়নকারী তা সমন্বয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে মার্জিন তলব (margin call) করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এইরুপ মার্জিন তলব লিখিত বা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের নিবন্ধিত ই-মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরে যথাক্রমে ইমেইল ও এস এম এস (ংসং) বা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এর মাধ্যমে প্রদান করিতে হইবে;
(৩), উপনিধি (২) অনুযায়ী মার্জিন তলব করিবার ৩(তিন) ট্রেডিং দিবস পরও যদি কোন গ্রাহক উপবিধি (১) মোতাবেক প্রয়োজনীয় মার্জিন জমা দানে ব্যর্থ হন বা বিরত থাকেন, বা তাহার ইকুইটি
মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ৭৫ ভাগ (৭৫%) বা তাহার পোর্টফলিও মূল্য মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ১৭৫ ভাগে (১৭৫%) উন্নীত করিতে বা সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে মার্জিন অর্থায়নকারী সঙশ্লিষ্ট গ্রাহককে নতুন করিয়া কোন লেনদেন করিতে দিবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, গ্রাহকের ইকুইটি মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ৭৫ ভাগ (৭৫%) বা তাহার পোর্টপলিও মূল্য মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ১৭৫ভাগে (১৭৫%) উন্নীত বা সমন্নয় করিবার নিমিত্বে মার্জিন অর্থায়নকারী উক্ত হিসাবে রক্ষিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিকিউরিটিজ বিক্রয় করিতে পারিবে;
(৪) যদি কোন গ্রাহকের ইক্যুইটি মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ৫০ ভাগ (৫০%) বা তাহার পোর্টফোলিও মূল্য মার্জিন অর্থায়নের শতকরা ১৫০ ভাগ (১৫০%) বা উহার কম হয়, তাহা হইলে মার্জিন অর্থায়নকারী সংিশ্লষ্ট গ্রাহকের হিসাব সমন্বয়ের নিমিত্ত, গ্রাহককে কোনো নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে উক্ত হিসাবে রক্ষিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিকিউরিটিজ আবশ্যকভাবে বিক্রয় করিবে:
(৫) উপ বিধি (৪) মোতাবেক মার্জিন অর্থায়নকারী আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিতে বা কোন মার্জিন হিসাব সমন্বয় করিতে অবহেলা করিলে, উদ্ভুত দায়-দায়িত্ব মার্জিন অর্থায়নকারীর উপর বর্তাইবে।”
উক্ত ৯নং ধারা এবং উপ-ধারা প্রনয়নের উদ্দেশ্য হলো, উনাদের কাছে সকল একাউন্ট তথ্য আছে। উনারা জানে এই ক্যাটাগরীতে ৯৯ ভাগ মার্জিন শেয়ার হোল্ডার উক্ত শর্ত পূনল করতে পারবে না। ) আর্থিক সক্ষমতা ও সুরক্ষা বিবেচনায় কোন ছাত্র ছাত্রী, গৃহীনি বা অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।” এই ধারাটির উদ্দেশ্য হল সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা জানেন বর্তমানে বিপুল সংক্ষক নারী, গৃহিনী, অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তির নামে বিপুল সংক্ষক শেয়ার আছে। এ আইনের মাধ্যমে উক্ত নারী গৃহিনী অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ছাত্র ছাত্রী গনের অভিভাবক গন ৬ ধারা মোতাবেক চুক্তি করতে পারবে না। যারকারণে উক্ত শেয়ার সমূহ বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং কম মূল্যে সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা উক্ত শেয়ার সমূহ ক্রয় করে নিজেরা এবং নিজেদের সহযোগীদের কে লাভবান করতে পারবে। যারকারণে উক্ত শেয়ার সমূহ বিক্রি করতে বাধ্য হবে এবং কম মূল্যে সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাদের সহযোগীরা উক্ত শেয়ার সমূহ ক্রয় করে নিজেরা এবং নিজেদের সহযোগীদের কে লাভবান করতে পারবে।
১৪। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রনীত বিধিমালার ৯ নং ধারাটি শেয়ার আত্মসাৎ করার আরও একটি কৌশল। উক্ত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৯। মার্জিন কল উক্ত ধারার মূল উদ্দেশ্য হল শেয়ার হাতিয়ে নেওয়া কেননা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানে যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শেয়ার বাজারে দর পতনের কারনে প্রায় ৯৯% বিনিয়োগ কারীদের ৭৫% ইকুইটি নাই” উক্ত আইনের কারনে গ্রাহক উক্ত বিধিমারার তফসিল ক মোতাবেক নতুন ভাবে চুক্তি করতে পারবে না এবং শেয়ার গুলি স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিক্রি হয়ে যাবে।
১৫। মার্জিন অর্থয়ানযোগ্য সিকিউরিটি (margin financeable security)-(১) মার্জিন অর্থায়নকারী স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোড (main board)-এ তালিকাভুক্ত A এবং B ক্যাটাগরির শেয়ারসমুহ ব্যতিত অন্য কোন সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, B ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কম্পানী বার্ষিক নুন্যতম ৫% লভ্যাংশ বিতরন না করিলে ই ক্যাটাগরির কোনো শেয়ারের ক্রয়ের নিমিত্ত মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না:
আরও শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নকৃত A এবং B ক্যাটাগরির কোনো শেয়ার পরবর্তীতে Z ক্যাটাগরিতে রুপান্তরিত হইলে, বা B ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কম্পানি বার্ষিক নুন্যতম ৫% লভ্যাংশ প্রদান না করিলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্টি গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬০ (ষাট) ট্রেডিং দিবসের মধ্যে উক্ত শেয়ার সমুহ আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উহা সমন্বয় করিবে:
(২) উপবিধি (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, স্টক এক্সচেঞ্জ এর SME, ATB ev OTC প্ল্যাটফর্ম বা বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(৩) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার কারনে বিদ্যামান মার্জিন হিসাবে রক্ষিত কোনো সিকিউরিটি মার্জিন অর্থায়ন অযোগ্য (non-marginable) সিকিউরিটিতে রুপান্তরিত হইলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে, উক্ত সিকিউরিটি আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উক্ত হিসাব সমন্বয় করিবে;
ব্যাখ্যা।-এই উপবিধিতে “বিধ্যমান মার্জিন হিসাব” বলিতে এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার পূর্বের কোনো মার্জিন হিসাবকে বুঝাইবে।
(১১) মার্জিন অর্থায়নে বিধি-নিষেধ (prohibitions)।-কোনো মার্জিন অর্থায়নকারী নিম্নোক্ত বিধি-নিষেধ বা শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে পরিপালন না করিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না,
যথা:
(১) কোনো গ্রাহকের হিসাবে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসের অব্যবহতি পূর্বের ০১ (এক) বছর গড়ে, ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার বিনিয়োগ না থাকিলে, উক্ত হিসাবে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নের পর কোনো মার্জিন হিসাবে (margin account) মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটি ব্যতিত অন্য কোনো সিকিউরিটি সংরক্ষন করা যাইবে না;
(২) উপবিধি (১) পরিপালন সাপেক্ষে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসে উক্ত হিসাব পোর্টফোলিওতে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ বা সমমূল্যের মার্জিন সংরক্ষিত না থাকিলে, কোনো ভাবেই, উক্ত মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
বর্ণিত আইনের উক্ত ধারাটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং সাধারাণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। কেননা সিকিউরিটি এচেঞ্জ কমিশন কর্তপক্ষ জানেন বিগত বছর অনেক ব্যাংক এবং আর্থীক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণের কারণে সামর্থ থাকা স্বত্বেও লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারে নাই। সিকিউরিটি এচেঞ্জ চেয়ারম্যান নিজে এবং নিজেদের সহযোগী ক্রয় করে দিয়ে লাভবান হতে। যারকারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অত্র আইনটি প্রণয়ন করেছে।
১৬। উক্ত আইনের ১১ নং ধারায় মার্জিন অর্থায়নে বিধি নিষেধ সর্ম্পকে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত আইনের যে সকল বিধিবিধান করা হয়েছে, তা অত্যান্ত সুপরিকল্পিতভাবে শেয়ার আত্মস্বাৎ এর উদ্দেশ্যে প্রণীত।
সিকিউরিটিজ এন্ড এচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান জানেন বিগত বছর প্রভিশন ঘাটতির কারনে অনেক ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাই আইনটি এভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে সকল শেয়ার আত্মস্বাৎ করা যায়।
১৭। সিকিউরিটিজ এন্ড এজচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫ টি সম্পূর্ণ রুপে প্রতারণামূলক এবং সাধারণ বিনিযোগকারীদের শেয়ার আত্মস্বাৎ করার উদ্দেশ্যে প্রণীত।
১৮। কোন আইন অতীত হতে কার্যকরী হওয়ার বিধান নাই। অথচ বর্তমান আইন এমন ভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে মার্জিন রুলের আওতায় বিনিয়াগকারীদের নিকট আর কোন শেয়ার সুযোগ না থাকে।
১৮। বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে কিরুপ প্রতারনা হয় তা তদন্তের স্বার্থে এক মাসের ট্রেড এর তালিকা সংগ্রহ করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কিভাবে প্রতারণা করা হয়। কিভাবে নানা প্রকার চক্রান্তের মাধ্যমে সাদারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মস্বাৎ করা হচ্ছে।
১৯। জনাব খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এডচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। উক্ত পদে থাকার জন্য তিনি সরকার হতে সুযোগ সুবিধা বেতন পেয়ে থাকেন। উনার মূল দায়িত্ব হলো রাষ্ট্র প্রদত্ত ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করা। সিকিউরিটিজ এন্ড এচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ কোন প্রকার প্রদান না করা স্বত্বেও ব্যাংকিং আইন, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্গন করে, দেশের ফোর্স সেলের বিধান না থাকা স্বত্বেও ফোর্স সেল করে সিন্ডিকেট সৃষ্ট্রি করে, ৬মাস বা এক বছরের জন্য বিধিমালা তৈরি করে জনসাধারন তথা সাধারন বিনিয়োগকারী শেয়ার কমমূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে পূনরায় বিধিমালাটি বাতিল করে নিজেরা লাভবান হওয়া এবং নিজেদের লোকদেরক লাভবান করা। যাহা সরাসরি দুনীতি।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা, দয়া প্রকাশে দরখাস্তে বর্ণিত বিষয়টি তদন্ত করে সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ এবং দেশের সুনাম এবং সন্মান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে মর্জি হয়।
এ কে এম মিজান উর রশিদ চৌধুরী
পিতা-মৃত মরহুম লকিয়ত উল্লা চৌধুরী,
সাং- বিক্রমপুর প্লাজা, সুইট নং-৬০৩, (৬ষ্ঠ তলা), বাসা নং-২১১/ডি, জুরাইন রেল গেইট, থানা-
কদমতলী, ঢাকা।
মোবাইল নং-০১৬৭৫২৭৯১৫৬