এতিমের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে যে উপকার

সময়: বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫ ৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ণ

ধর্ম ডেস্ক
কোরআন ও হাদিসে এতিম শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এই দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে—

‘তারা তোমাকে এতিম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, তাদের ইসলাহ তথা সুব্যবস্থা (পুনর্বাসন) করা উত্তম…।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২২০)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না।’ (সুরা দুহা, আয়াত : ৯)

এক হাদিসে হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্য অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন। এবং এ দুটির মধ্যে তিনি সামান্য ফাঁক করেন)।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)

এতিমের মর্যাদা সম্পর্কে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন—বিধবা, এতিম ও গরিবের সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর পথে মুজাহিদের সমতুল্য। অথবা তার মর্যাদা সেই (নামাজের জন্য) রাত জাগরণকারীর মতো, যে কখনো ক্লান্ত হয় না। অথবা তার মর্যাদা সেই রোজাদারের মতো, যে কখনো ইফতার (রোজা ভঙ্গ) করে না। (মুসলিম, হাদিস : ৫২৯৫)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুসলিমদের ওই বাড়িই সর্বোত্তম, যে বাড়িতে এতিম আছে এবং তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওই বাড়ি, যে বাড়িতে এতিম আছে অথচ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অতঃপর তিনি তাঁর অঙ্গুলির মাধ্যমে বলেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে অবস্থান করব।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৬৭৯; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ১৩৭)

 

 

 

Print This Post