ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

সময়: মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫ ৯:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন ডেস্ক
শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। গত রোববার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিল্পীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি বলেন, “আম্মাকে (ফরিদা পারভীন) আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।”

ফরিদা পারভীনকে দেখার জন্য অনেকে হাসপাতালে ভিড় করছেন। অনুরোধ জানিয়ে এ বিষয়ে ইমাম জাফর নোমানী বলেন, “ডাক্তার বলেছেন, ‘ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো আগের মতোই হয়ে যাবে’। সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি, হাসপাতালে ভিড় না করতে।”

দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন ফরিদা পারভীন। কয়েক দিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পর গত ৬ জুলাই তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো তাকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা৷ লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ ক্ল‌্যাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।

Print This Post