জেলা প্রতিনিধি:
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ইয়াছিন লিটনের (৪৫) মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের সময় বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে লিটনের বাবা মনির আহম্মদ ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা সীমান্তে ২১৬৪/৩-এস পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন লিটন, মিল্লাত ও আফছার। তারা সীমান্তবর্তী তারকাঁটা বাউন্ডারির কাছে পৌঁছলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন লিটন। পরে বিএসএফ তাকে ভারতের বিলোনিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এসময় মিল্লাত এবং আফছারও বিএসএফের গুলিতে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাতের মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য আফছারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত দুজন পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন মিল্লাত (২০) ও মনির আহম্মদের ছেলে মো. ইয়াছিন লিটন (৪৫)। আহত আফছার (৩০) একই এলাকার মৃত এয়ার আহম্মদের ছেলে।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, “বিএসএফ হস্তান্তরের পর ময়নাতদন্তের জন্য লিটনের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “মরদেহ হস্তান্তরের সময় বিএসএফের ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এএস বীরেন্দ্র সিং, ভারতের বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু রঞ্জন দে, পরশুরাম থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিমসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।”