‘গ্যাস সংকট নিরসনে ৫ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সময়: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫ ১:১৫:৪৮ অপরাহ্ণ

তৈরি পোশাকশিল্পে গ্যাস সংকট নিরসন ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

বুধবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন বিজিএমইএ
সভাপতি।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ও পরিচালক এ.বি.এম. সামছুদ্দিন। এ সময়
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজর (অব.) মো. সাইফুল ইসলামের
পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান তৈরি পোশাকশিল্পের বর্তমান গ্যাস পরিস্থিতি এবং গ্যাস সংকটের কারণে সৃষ্ট নানাবিধ
সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না পাওয়া এবং পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা
তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না, যা রপ্তানি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এই সংকট মোকাবিলায় বিজিএমইএ সভাপতি পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

পোশাক ও বস্ত্রশিল্পকে অগ্রাধিকার: দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সুরক্ষার জন্য গ্যাসের নতুন সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রমঘন পোশাক ও
বস্ত্রশিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া দ্রুত করা: তিতাস গ্যাসের নতুন সংযোগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার
আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি, যাতে করে কারখানাগুলো সময়মতো উৎপাদন শুরু করতে পারে।

আবেদনের তালিকা পৃথককরণ: লোড বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই, শুধু সরঞ্জাম পরিবর্তন, পরিমার্জন বা স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীদের একটি
আলাদা তালিকা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

কম লোড বৃদ্ধি আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার: কম লোড বৃদ্ধির আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়, যা
ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলোকে দ্রুত উৎপাদনে যেতে সাহায্য করবে।

গ্যাস রেগুলেশন: ধামরাই ও মানিকগঞ্জের মতো যেসব এলাকার গ্যাস পাইপলাইনের শেষ প্রান্তে অবস্থিত কারখানাগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যায়,
সেখানে অন্তত তিন-চার পিএসআই চাপ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ধরে রাখা এবং
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখতে পোশাকশিল্পের পথ সুগম করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে
সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিজিএমইএ সভাপতির কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। তিনি বলেন,
বেসরকারি উদ্যোগে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত, পোশাকশিল্পকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং এ খাতের সমস্যাগুলো নিরসনে সরকার
অত্যন্ত আন্তরিক রয়েছে। তিনি বিজিএমইএ সভাপতির উত্থাপিত বিষয়গুলো জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে বলে
আশ্বস্ত করেন।

Print This Post
নিউজটি ৭৫ বার পড়া হয়েছে ।