রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের গ্রেপ্তার আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ থেকে জানানো হয়, গোয়ালন্দে অধিকাংশ মসজিদে নেই ইমাম ও মুয়াজ্জিন-শীর্ষক একটি খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হলে তা জেলা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। তাই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে অযথা নিরপরাধ কোনো ব্যক্তিকে ঢালাওভাবে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নেই। মামলা সংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক এবং অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের অবগতির জন্য জেলা পুলিশ জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা এলাকায় সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত রাসেলের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩৫০০/৪০০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব জানান, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়ালন্দের ঘটনায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপরে হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধাদান, দরবার শরীফে অনধিকার প্রবেশ, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চুরি, সাধারণ ও গুরুতর জখম, হত্যা, কবর থেকে লাশ উত্তোলন, লাশ পোড়ানো ইত্যাদি।
এ ঘটনায় রুজুকৃত ২টি মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ২০ জনকে সুনির্দিষ্ট তথ্য, ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর আছে।