রাঙামাটি সুবলং ঝর্ণায় পড়ে গিয়ে ঢাকার শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ পর্যটক আহত হয়েছে । গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে আসা পর্যটকদের একটি টিমের সদস্য ছিলেন তারা। পর্যটকদের নাম যানা যায়নি।তবে দুর্ঘটনায় আহত পর্যটকরা শেয়ারবাজারে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে প্রায় ৭০ জনের একটি পর্যটক টিম আসে রাঙামাটির শুবলং ঝর্নায় আনন্দ উপভোগ করতে। তাদের কিছু সদস্য ঝর্না জলধারায় হ্রদের কোল ঘেঁষে আনন্দ করছিলেন। আর কিছু সদস্য পাহাড়ের মাঝামাঝি গিয়ে ঝর্নার পানিতে গা ভাসাচ্ছিলেন। তখন তাদের ছবি তুলতে গিয়ে একজন পর্যটক পা পিছলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। তিনি নিচের দিকে পড়ে যাওয়ার শেষ মুহুর্তে আটকে যায়, প্রানে রক্ষা পায়। এই মুহর্তে আরেকজন সদস্য তাকে সহায়তায় এগিয়ে গেলে তিনিও পা পিছলে পড়ে যায়। পরে অন্যান্য সদস্যরা ধৈর্যের সঙ্গে সেখান থেকে তাদের উঠাতে সক্ষম হয়। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন তারা। এই পর্যটকরা শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিস্ট বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে একজন পর্যটক জানায়, পা পিছলে পড়ে যাওয়ায় অন্যান্য সদস্যরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে মহান আল্লাহর রহমতে তাদের উঠিয়ে আনে। মুহুর্তে আনন্দ বিশাদে রূপ ধারন করে। পরে আতঙ্কে সব পর্যটক পাহাড় থেকে নেমে আসে।
রাঙামাটি সদর হতে সুবলং ঝর্নার দুরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সুবলং ঝর্নাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। কিন্তু পাহাড়ের পাদদেশে নিরাপত্তা বার না থাকায় পা পিছলে পড়ে প্রায় সময়েই পর্যটকরা আহত ও নিহত হয়। এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পাহাড়ে নিরাপত্তা বার দেওয়া জরুরী বলে মনে করছেন পর্যটক ও পর্যটক খাত সংশ্লিষ্টরা। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা।