৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষনের পর স্থিতিশীলতা জানা যাবে: ঢামেক চিকিৎসকরা

সময়: শনিবার, আগস্ট ৩০, ২০২৫ ১:৫৬:১০ অপরাহ্ণ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘তার মাথায় যে আঘাত লেগেছে, তাতে আপাতত সার্জারির প্রয়োজন নেই। তবে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পরই বলা যাবে তিনি কতটা স্থিতিশীল (স্ট্যাবল) হচ্ছেন।’

শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নুরুল হকের মাথায় যে আঘাতটা আছে সেখানে সম্ভবত সার্জারি লাগছে না। তবে ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা ওভার হলে রোগী কতটা স্ট্যাবলের দিকে যাচ্ছে তা বলা যাবে।

পরিচালক আরও জানান, নুরুল হকের নাকে থাকা ন্যাজাল প্যাক খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এখন আর রক্ত পড়ছে না।

তার চোয়ালের হাড় ভেঙেছে, তবে সেটিও চিকিৎসকদের মতে ঠিক হয়ে যাবে। নুরুল হককে হাসপাতালে আনার পরপরই ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

সেই বোর্ডের নির্দেশনায় তার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য হচ্ছেন হাসপাতাল পরিচালক নিজেই।
পরিচালক বলেন, নুরুলের একদম বেহুশ হয়ে পড়েনি। তাকে আইসিইউতে অক্সিজেন সাপোর্টসহ উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহতের পর নুরুল হককে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। সেই কারণে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাকের ভেতরে ন্যাজাল প্যাক ব্যবহার করেন রক্তপাত বন্ধের জন্য। বর্তমানে সেই প্যাক খুলে ফেলা হয়েছে এবং রক্তপাত বন্ধ হয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউতে রেখেই তার চিকিৎসা চলমান আছে।

২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। লাঠিচার্জে গণঅধিকার নেতা নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

Print This Post
নিউজটি ৯৬ বার পড়া হয়েছে ।