ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। যা রাজধানীবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এরপর গতকাল শনিবার আরও অন্তত দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেন সবাই। এরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, যে কোনো সময় আরও বড় ভূমিকম্প হবে। কোথাও কোথাও আবার নির্দিষ্ট সময়ও বলা হয়।
যা মানুষকে আরও বেশি আতঙ্কিত করে তোলে। আতঙ্ক থেকে কোথাও কোথাও মানুষ গতকাল সারারাত বাইরে ছিলেন। এসবের পাশাপাশি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কথিত বিশেষজ্ঞরাও ভূমিকম্পের ব্যাপারে নানা মত দিয়ে যাচ্ছেন। যা মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করছে।
• ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কী দেওয়া যায়?
বাংলাদেশে এখন যে আতঙ্ক বা গুজব ছড়িয়েছে, ২০২৩ সালে এমনটি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানে। ওই বছর তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হেনেছিল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভূমিকম্পের পর গুজব ছড়ানো হয় ১৫ দিনের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানে একইরকম ভূমিকম্প আঘাত হানবে।
তখন বিশেষজ্ঞরা জানান, কবে, কোথায় আর কোন সময় ভূমিকম্প আঘাত হানবে সেটি পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পন প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মাইকেল ব্রুনো ওই সময় বলেন, “এ মুহূর্তে এমন কোনো বিজ্ঞান, ম্যাজিক বা জাদুবিদ্যা নেই যেটি ভূমিকম্প আঘাত হানার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বাভাস দিতে পারবে। বিজ্ঞানীদের ভূমিকম্পের সুনির্দিষ্ট সময় বলতে পারার ক্ষমতা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য সব পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কেউ সফল হননি এবং বিশ্বাসযোগ্য পূর্বাভাস দিতে পারেননি।”
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভূপদার্থবিদ্যার গবেষক প্রফেসর এগিল হোকসন বলেছেন, “ভূমিকম্প কখন হবে ওই সময় নির্দিষ্ট করা বলা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।”
সূত্র: ইউএসজিএস, এপি
